প্রেমের চিঠি । ভালোবাসার চিঠি । প্রেম পত্র । লাভ লেটার

প্রেমের চিঠি । ভালোবাসার চিঠি । প্রেম পত্র । লাভ লেটার পোষ্টে আপনাদের স্বাগতম। আপনি যদি কাউকে ভালোবাসেন এবং তার কাছে সকল অনুভূতি প্রকাশ করতে চান তাহলে আপনি একটি প্রেম পত্র বা লাভ লেটার লিখে দিতে পারেন। এই পোষ্টে কিছু প্রেমের চিঠি বা ভালোবাসার চিঠি শেয়ার করবো। 
প্রেমের চিঠি
প্রেমের চিঠি

আপনি যদি কোন মেয়েকে পচন্দ করেন এবং তাকে প্রপোজ করার জন্য একটি রোমান্টিক চিঠি খোজে থাকেন তাহলে এখানে দেওয়া চিঠিগুলো আপনাকে সাহায্য করবে। 

আরও পড়ুন -

প্রেমের চিঠি

বাংলা ভালোবাসার চিঠি, প্রেমের চিঠি,  লাভ লেটার, প্রেম পত্র নিয়ে এই পোস্ট টি সাজানো হয়েছে। আশা করি, প্রেমের চিঠিগুলো ভালো লাগবে।

প্রথম প্রেমের চিঠি

প্রিয়তমা,
কেনো জানি খুব কান্না পাচ্ছে। শুন্যতা, পূর্ণতা, নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য, জানি না। শুধু অনুভব করতে পারছি বুকের ভিতর কোথায় জেনো একদল লোকিয়ে থাকা অভিমান পচন্ড কান্না হয়ে দুচোখ ফেটে বেরুতে চাচ্ছে। তুমি কাছে নেই বলে শুন্যতা তার নিষ্টুরতার খেলা ইচ্ছেমতো দেখাচ্ছে। আমিতো তোমার হ্রদয়ে মুখ লোকালেই বাচি এখন। কিন্তু তুমি যে কতো দুরে!!! বলোতো??

আজ শেষ বিকেলের পাহাড় ছুয়ে ছুটে আসা দমকা হাওয়ার জড়িয়ে দেওয়া মেঘের মতো ছোট্ট একটি ঘটনা আমার সকল দ্বিধাকে উড়িয়ে নিয়ে গেলো। বুঝলাম, মহাকাল যে হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে “জীবন” বলে আমাকে দান করেছে। সেই জীবনে তুমিই আমার একমাত্র মানুষটি, যার ৫ টি আঙ্গুলের শরনার্থী আমার ৫টি আঙ্গুল। যার বুকের পাঁজরে লেগে থাকা গামের গন্ধ আমার গ্রানশক্তির একমাত্র গন্তব্য। যার এলোমেলো চুলে আমি হারিয়ে যাবো। আর আমি হারিয়ে যাবো ভালোবাসতে বাসতে।।।।

ইতি 
তোমার মন পাওয়ার জন্য সেই মানুষটি।

প্রেমের শেষ চিঠি

প্রিয়,
রাত দুটো চোখে ঘুম নেই। কিছুই ভালো লাগছে না। বারবার শুধু তোমার কথা মনে পড়ছে। তবোও তোমায় নিয়ে লিখতে বসলাল আমার ভালোবাসার শেষ চিঠি। 

আমি জানিনা, কিভাবে ভালোবাসতে হয় আর কিভাবে ভালোবাসলে ছেড়ে যায় না। তবে তোমাকে অনেক ভালোবাসি সেটা বুঝতে পারি। আর সেটা ভালোভাবেই জানি। তুমি হয়তো জানো না, এখনো তোমাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছো করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তোমার প্রকাশ ভঙ্গি অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। তোমাকে হয়তো কখনও বোঝাতে পারবো না আর বোঝাতেও পারিনি “কতোটা ভালোবাসি তোমাকে”। কিন্তু প্রমিস করছি, তোমার জায়গাটা অন্য কাউকে দিবো না। তোমার জায়গা তোমারি থাকবো!! যদি কখনও আমার কথা একটি বার মনে পড়ে তাহলে ফিরে আসো। আজও আমি তোমার অপেক্ষায় আছি। 

ইতি 
---------

ভালোবাসার রোমান্টিক চিঠি

প্রিয় তানিয়া,
শুরুতেই জানাই গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা। ভালোবাসা কাকে বলে হয়ত আমি বুঝি না। তবুও তোমায় আমি ভালোবেসে ফেলেছি। কেন তোমাকে এত ভালোবাসি সেটা বুঝতে পারি না। হয়তো কষ্টের ঝর্ণাটাকে পুর্ণ করতে তোমাকে আমি ভালোবেসেছি । 

তোমাকে প্রথম দেখাতেই আমার অনেক ভালো লাগে। হয়তো তখনিই তোমার প্রেমে পড়ে গেছিলাম। এখন তোমার কথা না ভেবে থাকতে পারি না। এই চোখে সাগর দেখেছি নীল রাঙা ঢেউ , জানি শুধু জানবে না কেউ । তোমার মিষ্টি হাসি আমার অনেক ভাল লাগে। তোমার জানালার পাশে লুকোচুরি আমার অনেক ভাল লাগে ।

আমি ভুলে যাই নিজেকে তবুও ভুলতে পারি না তোমাকে । আমার অস্তিত্বে কেন যে মিশে ‍ গেছ তুমি। প্রশ্ন করে ও পাই না কোন উত্তর আমার অন্তর আ্ত্তার কাছে। ঠিক যেমনটা  তুমিও কখনো জানতে পারবে তোমার অন্তর আত্তার কাছে এর উত্তর ।

তবুও ক্ষমা করে দিও এই অদৃশ্যকে যদি কোন অপরাধ করে থাকি । আর পারবো না কোনদিন তোমাকে ভুলতে ‘তোমাকে ভালবাসি ’  এই কথাটি বলতে তোমাকে ।

ইতি,
তোমার পাগল। 

হাসির প্রেমের পত্র + গল্প

ম্যাডাম ক্লাসে ঢুকেই বলল,  "সাব্বির তুই নাকি তানিয়াকে প্রেমপত্র দিছিস? তানিয়া তোর প্রেমপত্র পড়ে
অজ্ঞান হয়ে গেছে।
Madam এর কথা শুনে সাব্বির ভয়ে কাপতে লাগলো। ম্যাডামের ১ মাত্র মেয়ে তানিয়া। ডাইনী মায়ের ১ মাত্র আদরের সন্তান তানিয়া। Madam আবার বলল, "কিরে তুই উত্তর দিচ্ছিস না কেন"? ভয়ে সাব্বিরের পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো। যেকোনো সময় প্যান্ট নষ্ট করে ফেলার মতন অবস্থা। জীবনে কখনো ম্যাডামের ক্লাসে পড়া দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। Madam এমনিতেই আমাকে দেখতে পারেন না। তার উপর তার আদরের মেয়েকে প্রেমপত্র দিয়েছি!! ঐ প্রেমের চিঠি পড়ে তানিয়া অজ্ঞান। আজকে Madam আমার কি অবস্থা করবে সেটা বুঝার বাকি রইলনা। মনে মনে বিপদের দোয়া পড়ছি আর নিজের বুকে ফুঁ দিচ্ছি। হে আল্লাহ আমাকে এবারের মতন বাঁচাও আজকেরপর হতে তানিয়াকে নিজের বোনের চোখে দেখবো।

Madam আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসলো। ক্লাসের সবাই আমার দিকে সার্কাস দেখার অপেক্ষায় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। Madam কাছে এসে প্রেমের চিঠি টা আমার হাতে দিয়ে বলল, "পড়ে শোনা"। Madam এর কথা শুনে এবার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ। লজ্জায় আমি নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। Madam তার ডাইনী কণ্ঠে চিৎকার করে উঠে বলল, "এক্ষণ পড়ে শোনা বলছি। “প্রেম পত্রটা হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম।

**কলিজার বোঁটা তানিয়া, কেমন আছো তুমি? জানি,,,,, তুমি বেশি ভালো নাই। তোমার ডাইনী মা 35 মিনিটের ক্লাসে আমাদের যে অবস্থা করে! আল্লাহ জানে ঐ ডাইনীটা সারাদিন কতো নির্যাতন চালায়। তুমি বললে তোমার ডাইনী মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করবো। ১ম দিন তোমাকে দেখেই আমার বুক কেঁপে উঠেছিল। সেই কাঁপুনিতে মায়েনমার এবং বাংলাদেশের কিছু অংশ কেঁপে উঠে। কিন্তু মানুষজন বলে সেটা নাকি ভূমিকম্পের কারণে। কোন মানুষকে বিশ্বাস করাতেই পারিনি ঐটা আমারি বুকের ভূমিকম্প। জানো তুমি সারাদিন শুধু আমি তোমার কথা ভাবি। এতো ভাবনা যদি আমি ম্যাথমেটিক্স এর প্রতি দিতাম তাহলে আইনস্টাইনের মতন আমারো পকেটে ২ - ৪ টা নোবেল থাকতো। কিন্তু তানিয়া দেখো আমি নোবেলের কথা চিন্তা না করে শুধু তোমার কথা চিন্তা করি। কিন্তু তোমার ডাইনী মায়ের জন্য চিন্তা ভাবনাও ভালোকরে করতে পারিনা সোনা। হঠাৎ করে আমার চিন্তার মধ্যে তোমার মা এসে আমাকে লাঠিপেটা করে আর বলে "ঐ তুই আমার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করিস কেন?" সেদিন স্বপ্নে দেখি তোমাকে নিয়ে চাদের দেশে হানিমুন করতে যাচ্ছি। রকেটের মধ্যে তুমি আর আমি লুকোচুরি খেলছি। এরমধ্যে কোথা হতে যেন তোমার ডাইনী মা এসে রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিলো এবং বললো, "এবার খেলা হবে।" বিশ্বাস করো তানিয়া, তোমার কথা মনে হইলেই এই হৃয়দের মধ্যে Energy Light জ্বলে উঠে। তুমি আবার ভেবো না আমি ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় কিনেছি শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য। আমি ফিলিপ্স বাল্বের কথা বলেছি। যা দিবে তোমাকে শতভাগ আলো ও দীর্ঘদিনের গ্যারান্টি। তানিয়া বিশ্বাস করো এই মনে!,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।।।। 

হঠাৎ ধপাস করে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ পেলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি Madam অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ম্যাডামকে তুলে ডাক্তার ডাকতে গেলাম। ম্যাডামের জ্ঞান ফিরলে প্রিন্সিপ্যাল Madam আমাকে ডেকে পাঠালেন। উনি বললেন, "তুমি নাকি ম্যাডামের মেয়ে তানিয়াকে চিঠি দিয়েছ। কি ছিল সেই চিঠিতে দেখি চিঠিটা আমাকে দেও।" আমি ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপ্যাল Madam কে বললাম "আগে এখানে ডাক্তারকে ডাক দেন ম্যাডাম।


প্রেমের চিঠি । ভালোবাসার চিঠি । প্রেম পত্র । লাভ লেটার পোষ্টটি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই পোষ্ট থেকে প্রথম প্রেমের চিঠি, শেষ প্রেমের চিঠি সংগ্রহ করতে পেরেছেন। 
Previous Post Next Post